কোল সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক উৎসবে ঢোল মাদলের তালে তালে মাতৃভাষার গানের সঙ্গে নাচল ১০টি সাংস্কৃতিক দল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন গ্রামের অন্যরাও।
রাজশাহীর বাবুডাইং আলোর পাঠশালা চত্বরে শনিবার দিনভর উৎসবে মেতেছিল সবাই।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
কোল সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও এতে সাঁওতাল ও মাহালে জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দলগুলো অংশ নেয়।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম।
উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম, কোল সম্প্রদায়ের নেত্রী রুমালি হাসদা, কোল ছাত্র জয়ন্ত সরেন ও সংবাদিক আনোয়ার হোসেন।
মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম বলেন, কোল সম্প্রদায়ের উন্নয়নের ধারায় অনেক পিছিয়ে আছে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে তারা বঞ্চিত। বেশির ভাগ লোকই বাস করে খাস জমিতে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধা তারা পাননি। এখানকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন সহায়তা থেকেও বঞ্চিত। এসব সহায়তা পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার। কাউকে পেছনে রেখে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামার ইনস্টিটিউট অব লিংগুইস্টিক (এসআইএল) ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এতে সহযোগিতা করে রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি ও ন্যাশনাল এজেন্সি ফর গ্রিন রিভ্যুলেশন (এনএজিআর)।