নড়াইল মুক্ত দিবসে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার এবং এ ঘটনার ভিডিও করার সময় এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের নড়াইল জেলা শাখা শিল্পকলা একাডেমির সামনে মানববন্ধন করে।
এতে জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে নড়াইল মুক্ত দিবসের আলোচনা শেষে নাশতার প্যাকেট বিতরণ চলছিল। সে সময় আমরা তিন-চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এস এ মতিন নাশতার প্যাকেট আনতে যান।
‘তখন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিসি অফিসের সহকারী নাজির বাবর আলীর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবরসহ ডিসি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী মতিনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। সে সময় আমি এগিয়ে যাই। তারা আমার ওপরও চড়াও হন।’
হিলুর অভিযোগ, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বেশ কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
এসএ টিভির নড়াইল প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘কয়েকজন কর্মচারী মতিন ও হিলুর দিকে তেড়ে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফকরুল হাসান ঠেকানোর চেষ্টা করেন। তবুও তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে তেড়ে যায় ও চেয়ার তুলে মারার চেষ্টা করে।
‘আমি ভিডিও করতে গেলে হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ৩ ঘণ্টা পর ফোনের সব ভিডিও ডিলিট করে ফেরত দেয়।’
মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এভাবে অপমানিত হওয়ার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম? নড়াইল মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’