খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
বিবৃতিতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ জানানো হয় এবং ওই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
৩০ ডিসেম্বর দুপুর ৩টার দিকে তিনি মারা যান। অধ্যাপক সেলিম কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, হলের ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনার দিন দুপুরে অধ্যাপক সেলিমের ওপর মানসিক নির্যাতন চালান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যুর খবর আসে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।