বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদের জন্য কেঁদে ভাইরাল রানা যুবলীগের নেতা নন

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৪৩

সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘রানা উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের আসাদের মেজো ছেলে। হঠাৎ করেই ২০১৮ সালে স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। রানা ফেসবুকে নিজেকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনো পদ নেই।’

প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা মুরাদ হাসানের জন্য ফেসবুক লাইভে অঝোরে কাঁদা জামালপুরের সেই রানা সরকার যুবলীগের সদস্য নন বলে জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের নেতারা।

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে রানা নিজেকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য দাবি করেছিলেন। তার ১৫ মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

লাইভ করার ২২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, ভিডিওটি দেখা হয়েছে পৌনে দুই লাখবার। এতে লাইক পড়েছে ১৫ হাজার, কমেন্ট করেছেন ৬ হাজার ৪০০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী।

সংগঠনে তার পদ নিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘রানা উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের আসাদের মেজো ছেলে। হঠাৎ করেই ২০১৮ সালে স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। রানা ফেসবুকে নিজেকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনো পদ নেই।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানা হঠাৎ রাজনীতিতে উদয় হলেও মুরাদের বিশ্বস্ত কর্মী ছিলেন। এর সুবাদে এলাকায় প্রভাব খাটাতেন। সারা দেশে বিতর্কিত হয়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন মুরাদ। এখন এই কর্মী নিজেকে অসহায় মনে করেই ফেসবুকে লাইভ করে কান্নাকাটি করেন।

এমডি রানা সরকার ওই ভিডিওতে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছে আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা মুরাদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিতে না পারলেও অসংখ্য নতুন কর্মী বাগিয়ে নিয়েছেন সুযোগ-সুবিধা।’

তিনি বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন সময় ভুল বক্তব্য দিতেন। পাশে থাকা সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীরা ভুল ধরিয়ে দেয়ার পরিবর্তে আরও উৎসাহ দিয়েছেন। ফলে ভুলভাল মন্তব্যে বারবার সমালোচিত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।’

যুবলীগের এই নেতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নেতা এখন সবই হারিয়েছে। তার এমন দুঃসময়ে বর্তমানে কোনো নেতা-কর্মী তার পাশে নেই৷’

ফেসবুক লাইভে এসে কান্নাকাটি করার কারণ জানতে যুবলীগ নেতা রানা সরকারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তিনি ফোন রিসিভ করলেও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।

মঙ্গলবার রাতেই তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার তার ফেসবুকে ভিডিওটি আর দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর