বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার রামপুরায় লিফলেট বিলি শিক্ষার্থীদের

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২৬

নিরাপদ সড়কসংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবি নিয়ে শুরুতে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজে জড়ো হয়। পরে স্লোগান দিয়ে শনিবারের কর্মসূচি ঘোষণা করে লিফলেট বিতরণ করে তারা।

নিরাপদ সড়কসংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক দিনের মতো বৃহস্পতিবারও রামপুরা ব্রিজে জড়ো হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ওই সময় দাবিসংবলিত লিফলেট সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করে শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে নিতে অর্থ সংগ্রহও করে তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজে জড়ো হয়ে শনিবারের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় আন্দোলন স্থগিত রেখেছে তারা।

প্রথমে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজে জড়ো হয়। পরে স্লোগান দিয়ে শনিবারের কর্মসূচি ঘোষণা করে লিফলেট বিতরণ করে তারা।

শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয়া খিলগাঁও মডেল কলেজের ছাত্রী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে আমরা আজ জনসাধারণের কাছে লিফলেট বিতরণ করেছি। ১১ দফা দাবি নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। তাদের কাছে এই ১১ দফা তুলে ধরেছি।

‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সড়ক আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের নয়; সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন এটা। এই আন্দোলনে আমরা জনসাধারণের সমর্থন চাই।’

শনিবারের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সোহাগী বলেন, ‘শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় আমরা আন্দোলন স্থগিত রেখেছি। শনিবার বেলা ৩টায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শ্রমিকদের নিয়ে সংহতি সমাবেশ করা হবে। এত দিন আমরা শিক্ষার্থীরা টাকা তুলে আন্দোলন চালিয়েছি।

‘আন্দোলন আমাদের পক্ষে চালিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ কারণে আমরা জনগণের কাছে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে নিতে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

লিফলেটে ১১ দফা দাবি

১. সড়কে শিক্ষার্থী নাইম ও মাইন উদ্দিন নিহতের ঘটনার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

২. সারা দেশে সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ পাসের জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৩. গণপরিবহনে শিক্ষার্থী এবং নারীদের অবাধ যাত্রা ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ফিটনেস ও লাইসেন্সহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সহীন চালককে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. সব রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক ফুট এক বাস এবং দৈনিক আয় সব পরিবহন মালিকের মধ্যে তাদের অংশ অনুযায়ী সমভাবে বণ্টন করার নিয়ম চালু করতে হবে।

৭. শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তি ভিত্তিতে বাস দেয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. গাড়িচালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে দুজন চালক ও দুজন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. যাত্রী-পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১০. ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে।

১১. মাদকাসক্তি কমাতে সমাজজুড়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর