বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলালের ‘অশালীন’ বক্তব্যে ফখরুলের সমর্থনে কাদেরের ক্ষোভ

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:১২

মুরাদ হাসানের আপত্তিকর নানা মন্তব্যের জেরে মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানোর মধ্যে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আপত্তিকর মন্তব্যকে ‘ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা’ বলেছেন মির্জা ফখরুল। এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অশালীন বক্তব্যকে সমর্থন দিয়ে দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আপত্তিকর মন্তব্যে সমর্থন দেয়ায় বিএনপির প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপির কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ ছিল না। এখন তারা অশালীন বক্তব্যের পক্ষ নিয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ এটা সহ্য করেনি।

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী দেখেছে একজন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্য এবং অসদাচরণের জন্য শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। আর তার বিপরীতে দেশবাসী দেখল, বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের একজন নেতার অশালীন বক্তব্যকে নির্লজ্জভাবে কীভাবে দলীয়ভাবে সমর্থন দিল। দেশবাসী বিস্মিত, ক্ষুব্ধ এবং লজ্জিত।

বিএনপির কথায় ও কাজে পরিশীলিত রুচিবোধ ও শালীনতা নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘তা না হলে বিএনপি নেতা আলালের এমন অরাজনৈতিক কুরুচিপূর্ণ ভাষাকে কীভাবে রাজনীতিতে সজ্জন বলে বিবেচিত মির্জা ফখরুল সাহেবরা যৌক্তিকতা আছে বলে পাবলিকলি সার্টিফিকেট দেন?

‘তাহলে জনগণ ধরে নিচ্ছে তাদের সব অপপ্রচার আর বিষোদগারের মতো লোক দেখানো ভদ্রতাও এক ধরনের মুখোশ?’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্য দেয়ার পর বিএনপি তীব্র প্রতিবাদ করে। তার পদচ্যুতির দাবি তোলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পদত্যাগ করেন মুরাদ। এখন বিএনপি তার শাস্তির দাবি করছে।

মুরাদের এই বক্তব্যে তীব্র সমালোচনার মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আলালের একটি বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

বিএনপি ঘরনার একটি আলোচনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে এমন একটি মন্তব্য করেন, যেটি জাইমাকে নিয়ে মুরাদ হাসানের করা মন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি।

ব্যক্তিগত সম্পর্ক বিষয়ে অশালীন বক্তব্য ছাড়াও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন আলাল।

এই ভিডিও পোস্ট করে বিএনপি নেতার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আলালের বিরুদ্ধে বিএনপি কী ব্যবস্থা নেবে-সেই প্রশ্ন রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারাও।

আলালের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলাও হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আলালের বক্তব্যের সমর্থন করা হয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেই বক্তব্যকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ সমালোচনা হিসেবে উল্লেখ করেন।

ফখরুল বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করার জন্যই তাকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি অশ্লীল বক্তব্য প্রদানকারী অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে ধরে নেব, এটা বিএনপির দলীয় বক্তব্য। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আশা করছি বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি এমনই এক দল যাদের কৃতজ্ঞতাবোধ কখনো ছিল না, এখনও নেই। দলগতভাবে তারা শিষ্টাচারবর্জিত দল। তা নাহলে শোকসন্তপ্ত মাকে সান্তনা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে তারা দরজা বন্ধ করে অসম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে দিত না।’

২০১৩ সালে বিএনপির আন্দোলন চলাকালে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করে গণভবনে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানোর পরের প্রতিক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সেদিনের অশালীন বক্তব্য সেসময় দেশবাসী শুনেছিল। তাই বলতে চাই, শিষ্টাচারহীনতা, অশালীনতা তাদের মজ্জাগত। এটা তাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার।’

সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতা-নেত্রীরা যে সব ভাষায় বক্তব্য রাখেন, তা বলারও অযোগ্য, ছাপারও অযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

এ বিভাগের আরো খবর