বিশ্বজিৎ দাস হত্যা দিবস আজ। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি দীর্ঘ নয় বছরেও। চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি এখন রয়েছে আপিল বিভাগে।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় বাঁচার জন্য দৌড় দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি বিশ্বজিৎ। শাঁখারীবাজারের রাস্তার মুখে পড়ে যান তিনি। এ সময় এক রিকশাচালক তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সেদিন লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে শাঁখারীবাজারে নিজের দোকানে যাচ্ছিলেন বিশ্বজিৎ। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর গ্রামের অনন্ত দাসের ছেলে।
বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ওইদিনই ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়।
ঘটনার এক বছর পর, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলায় রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ের দিন আদালতে হাজির ছিলেন মামলার আট আসামি। বাকি আসামিদের সবাই ছিলেন পলাতক।
মামলাটি পরে হাইকোর্টে আসে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দেয় আদালত।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দু’জন আপিল করেছিলেন তারাও খালাস পান। অপর ১১ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়।
এরপর মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে যায়, যা এখনও বিচারের অপেক্ষায়।