প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
বুধবার জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয়। মিছিল শেষে আলালের কুশপুতুলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। সেখানেই আলালেন কুশপুতুলে আগুন দেয়া হয়।
এরপর সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর বিক্ষোভ মিছিলটি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিকারী বিএনপি নেতা আলালকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় পদত্যাগী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিএনপির নানা বক্তব্যের মধ্যে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
বিএনপি ঘরানার একটি আলোচনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে এমন একটি মন্তব্য করেন, যেটি জাইমাকে নিয়ে মুরাদ হাসানের করা মন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক বিষয়ে অশালীন বক্তব্য ছাড়াও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন আলাল।
এই ভিডিও পোস্ট করে বিএনপি নেতার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আলালের বিরুদ্ধে বিএনপি কী ব্যবস্থা নেবে- সেই প্রশ্ন রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারাও।
আলালের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বিএনপি আলালের পক্ষেই আছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়ে তাদের দলের নেতার বক্তব্যকে ‘ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা’ বলে দাবি করেছেন।
বিএনপির এমন প্রতিক্রিয়ার পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দলটির সমালোচনা করে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, কেউ অশোভন বক্তব্য করলে আওয়ামী লীগ সাজা দেয়, আর বিএনপি করে পুরস্কৃত।