বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদকে জামালপুরে প্রতিহতের ঘোষণা বিএনপির

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৬

জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুরাদ কখন কী বলে নিজেও জানেনা। মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেন সবসময়। এমন লোককে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেয়া লজ্জাজনক বিষয়। আমরা তাকে জামালপুরে প্রবেশ করতে দিব না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার, দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানকে তার নির্বাচনি এলাকায় প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, তাকে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। চেষ্টা করলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিতাড়িত করবেন মুরাদকে।

জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুরাদ কখন কী বলে নিজেও জানেনা। মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেন সবসময়। এমন লোককে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেয়া লজ্জাজনক বিষয়। আমরা তাকে জামালপুরে প্রবেশ করতে দিব না।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘আমরা মুরাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তাকে জামালপুরে ঢুকতে দেয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’

মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘মুরাদ পাগলের মতো কথাবার্তা বলে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জায়মা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়। কখন কী বলে নিজেও জানে না।

‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের স্টেশন বাজার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় আমরা মুরাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। এবার জামালপুর আসুক, আমরা তাকে প্রতিহত করব।’

গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে এক ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। সেখানে বিএনপির রাজনীতি সমালোচনার একপর্যায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন।

নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ছিলেন মুরাদ। এর মধ্যে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে এক চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

৬ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুরাদকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন।

৭ ডিসেম্বর রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। রাতেই তা গেজেট আকারেও প্রকাশ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর