বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিআরইউতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো নিয়ে হট্টগোল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১৯

নবনির্বাচিত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে সব অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো হয়েছে। সাং‌বিধা‌নিক বাধ্যবাধকতার কারণে জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের ছ‌বি ডিআরইউ কার্যালয়ে টানানো হয়েছে। বিষয়টিতে রাজনী‌তি নেই।’

প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পর প্রথমবারের মতো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে টানানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছুটা হট্টগোলেরও সৃষ্টি হয়।

নবনির্বাচিত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই সংগঠনের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন করে। মঙ্গলবারই বিদায়ী কমিটির কাছ থেকে দায়িত্ব পায় এই কমিটি।

নবনির্বাচিত কমিটি দাবি করেছে, এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্মান পেলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। তবে বিরোধীতাও করেছে কমিটির একাংশ।

বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর সময় প্রতিবাদ জানান নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুলের নেতৃত্বে নির্বাচিত কয়েকজন। এতে হট্টগোল বেঁধে যায়।

এ সময় ওসমান গনি বাবুল বলেন, ‘২৬ বছরে ডিআরইউতে কোনো রাজনৈতিক ছবি টানানো হয়নি। সভাপতি সাহেব আপনি এখনও লাগাতে পারেন না, পারবেন না।’

এ সময় সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে সব অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো হয়েছে। সাং‌বিধা‌নিক বাধ্যবাধকতার কারণে জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের ছ‌বি ডিআরইউ কার্যালয়ে টানানো হয়েছে। বিষয়টিতে রাজনী‌তি নেই। অনেক আগেই ডিআরইউয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো উ‌চিত ছি‌ল।’

ডিআরইউ-এর সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতির পিতার ছবি আমাদের সময়ই লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এই বিষয়ে কারও কোনো কথা থাকার কথা না। কারণ আগের কমিটিতে রেজ্যুলেশন হয়েছিল যেখানে বেশিরভাগ সদস্যই মত দিয়েছিল।’

ছবি টানানোর বিষয়ে কোনো কথা বলার দরকার নেই বলেও জানান মশিউর।

ডিআরইউয়ের ইতিহাসে আগে কখনও জা‌তির পিতার ছ‌বি টানানো ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ছ‌বি টানানোর মধ‌্য দিয়ে ডিআরইউ নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে বলে মনে করছেন সদস‌্যরা।

ডিআরইউয়ের সদস্য কাজী মোবাররক হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের তৌহিদ মিথুন, যুগান্তরের হাসিব বাবুসহ কয়েকজন সদস্য ছ‌বি‌টি নতুন কমিটিকে উপহার হিসেবে দেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন, ‘জাতির পিতার ছবি সব জায়গাতেই থাকবে। এটা রাষ্ট্র বা সংবিধান দ্বারাই স্বীকৃত। ডিআরইউ-এর দাফতরিক কার্যালয়ে জাতির পিতার ছবি স্থাপন সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।’

এদিকে, এই উদ্যোগের প্রশংসা করে নিজস্ব ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দ্বীপ আজাদ। তিনি লিখেছেন, ‘জাতির পিতার ছবি টানিয়ে দায় মোচন করলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি– ডিআরইউ।’

সংগঠনের সদস্যরাও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, মহতী উদ্যোগ। অনেকের মন্তব্য ‘এতো দিন ছিল না ভাবতেও অবাক লাগছে।’

এ বিভাগের আরো খবর