উচ্চশিক্ষায় কারিকুলাম পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।
তার মতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে কারিকুলামে পরিবর্তন আসলেও বেসিক (মূল) বিষয়ে পরিবর্তন হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও যাত্রাপথের সন্ধান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিকুলামে পরির্বতন আনা জরুরি। এটাও ঠিক আমাদের কারিকুলামে অনেক পরিবর্তন আনা হলেও মূল বিষয়ে পরিবর্তন আসছে না।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ ডিগ্রিধারীদের স্কিল না থাকায় পাসের পর তাদের অনিশ্চয়তায় দিন পার করতে হচ্ছে। গতানুগতি শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে ইউজিসির পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
‘আমাদের এখনও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, চাইলেই ইউজিসি সব পরিবর্তন করে ফেলতে পারে না। আমাদের মাইন্ড সেটের পরিবর্তন দরকার, তা আমরা অনেকে বুঝেও সেটি বাস্তবায়ন করতে পারছি না। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ-বিদেশের বিশেজ্ঞদের নিয়ে আমরা দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন সর্ম্পকে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী ১০০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে। তারাও এখনও গতানুগতিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে রয়েছে। তাদেরও সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের উচ্চশিক্ষায় গবেষণা দূর্বল, সেখানে কি হচ্ছে তা কেউ জানেন না। এমন কী যিনি গবেষণা করছেন তিনিও কী গবেষণা করছেন জানেন না। আমাদের মাইন্ডসেট এখনও গতানুগতিক। আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব বিষয় গুরুত্ব দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ইউজিসি ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও যাত্রাপথের সন্ধান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বরে আয়োজন করা হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এর সম্ভবনাগুলোকে কাজে লাগাতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় নির্ধারণে ইউজিসি দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, গবেষক, উদ্ভাবক, শিক্ষার্থী, শিল্পোদ্যোক্তা, নীতিপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আগামী ১০-১১ ডিসেম্বর এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করে বক্তব্য দিবেন। সেদিন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন।