পদ্মা নদীতে নাব্যতা বাড়ায় শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)।
শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এই নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহম্মেদ আলী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৭টায় পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে কুঞ্জলতা ফেরি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। নির্বিঘ্নে এটি মাঝিরকান্দিতে পৌঁছেছে। এরপর বিকেল ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নৌপথে নিয়মিত ফেরি চলাচল করবে।’
বর্ষার মাঝামাঝিতে তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের কয়েকটি ফেরির পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। বিষয়টি নিয়ে সব আলোচনা হয়। এমন অবস্থায় ওই নৌপথের বিকল্প ভাবতে শুরু করে সরকার।
২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে রো রো ফেরির ধাক্কার পর বাংলাবাজার থেকে ঘাট সরিয়ে মাঝিরকান্দিতে আনার সুপারিশ করে বিআইডব্লিউটিসির তদন্ত কমিটি। সেই অনুযায়ী শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট সংস্কার করে ফেরি ভেড়ার উপযোগী করা হয়।
২৬ আগস্ট ঘাট তৈরি হলেও নদীতে তীব্র স্রোত ও নাব্যতার অভাবে ফেরি চলাচল শুরু করা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ জানান, এই নৌপথে সর্বশেষ ফেরি চলেছে ২০১২ সালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংস্থাটির শিমুলিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু এড়িয়ে সোজাসুজি শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দিতে চলাচলে অনেক সুবিধা আছে। এতে দূরত্ব ও সময় দুটিই কমবে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার আর মাঝিরকান্দির ৮ কিলোমিটার। মানে ৩ কিলোমিটার পথ কমে যাচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার পথে ফেরি চলাচল ১০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা হয়েছে। এখন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলবে।