চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া হবে না কেন, সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেটি জানাতে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনিক আর হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, ‘ড্রেনে পড়ে অকালমৃত্যুর ঘটনায় সাদিয়ার পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।’
সাদিয়ার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৫ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), সিসিবি ফাউন্ডেশন ও নিহত শিক্ষার্থীর মামা জাহিদ উদ্দিন বেলালের পক্ষে রিট করেন।
এতে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যু হয়। তার বাসা হালিশহরের বড়পোল এলাকার মইন্যাপাড়ায়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সাদিয়া ছিলেন সবার বড়।
ওই শিক্ষার্থী চশমা কিনে বাসায় ফেরার পথে চৌমুহনী এবং আগ্রাবাদের মাঝামাঝি এলাকার একটি ড্রেনে পা পিছলে পড়ে যান। সঙ্গে থাকা সাদিয়ার বাবাও মেয়েকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন ড্রেনে, তবে খোঁজ না পেয়ে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে। নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে ২৭ আগস্ট নগরীর মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতার সময় ড্রেনে পড়ে সালেহ আহম্মেদ নামে এক সবজি ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন। এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি।