রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের পর বাসে আগুন ও ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে রামপুরা থেকে স্বপন রেজা নামে ওই প্রাইভেটকার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শহিদ ব্যাপারী নামে আরেকজনকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তিনি পেশায় সবজি ব্যবসায়ী।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রামপুরা থানা পুলিশের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
একই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় পুলিশ আরেকটি মামলা করে। ওই মামলায় ঘটনার দিনই আরও এক কিশোরকে আটক করা হয়েছিল।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আজকে বিকেলে স্বপন রেজাকে গ্রেপ্তার করি। আর ঘটনার দিনই শহীদ ব্যাপারী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন করা ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
২৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় মাইনুদ্দিন নামের শিক্ষার্থীর।
মাইনুদ্দীন একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসসহ অন্তত আটটি বাসে আগুন ও চারটি বাস ভাঙচুর করে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ এসে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় দুটি মামলা করেছে রামপুরা ও হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
নাশকতার দুই মামলার মধ্যে রামপুরা থানারটিতে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে এবং হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।