বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২২ বছর পর সুনামগঞ্জের তেরা মিয়া হত্যার রায়

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:৪৯

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ। প্রতিপক্ষের গুলিতেই তেরা মিয়া মারা যান। আসামিদের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।’

সুনামগঞ্জের ছাতকে ২২ বছর পর আলোচিত তেরা মিয়া হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ২৭ জন আসামি।

রায়ে ৩১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের মধ্যে আসামি ফারুক আহমদ ওরফে মধু মিয়াকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া তাকে ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। বাকি ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।

এসব বিষয় নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, 'আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট বাদীপক্ষ।’

তিনি জানান, প্রতিপক্ষের গুলিতেই তেরা মিয়া মারা যান। আসামিদের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩১ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সালেহ আহমদ বলেন, ‘রায়ে আমরা খুশি নই। আসামিপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর সকালে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে বলারপীরপুর গ্রামের তেতইখালী খালে সেতু নির্মাণের বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই আজাদ মছকু মিয়া ও আরজু মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আরজু মিয়ার বড় ভাই তেরা মিয়া নিহত হন। আহত তেরা মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় ৪৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা চলাকালীন ৮ জন আসামি মারা যান। এখনও ১৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। ছাতক থানার তৎকালীন ওসি ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর