বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এ অধ্যক্ষ ছাড়া কি ভিকারুননিসা চলবে না: হাইকোর্ট

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৮

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিষয়ে বিচারপতিদের একজন বলেন, ‘তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ছাড়া প্রতিষ্ঠান চলবে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে মঙ্গলবার এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিচারপতিদের একজন বলেন, ‘তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না।’

পরে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

এটাই শেষ সময় উল্লেখ করে আদালত বলেছে, ‘এরপর আর কোনো সময় দেয়া হবে না।’

মামলার শুনানির সময় রিটকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল আদালতে বলেন, ‘আদালতের আদেশের পরেও দীর্ঘ সময় নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘উনি (কামরুন্নাহার) অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে তা ঠিকমতো হবে না। উনার বিপক্ষে কেউ রিপোর্ট দেবে না। তাই রিপোর্ট দাখিলের আগ পর্যন্ত কামরুন নাহারকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বিরত রাখার আদেশ দেন। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি যাতে দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করে সে নির্দেশ দেন।’

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ‘এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়।’

একই দাবি করেন অধ্যক্ষের আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ারও।

তিনি বলেন, ‘মাই লর্ড, রিট তো চলে না প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেটও আছে। কামরুন নাহার একজন বিসিএস ক্যাডার। তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখানে থাকতে চান না। তাকে জোর করে ভিকারুননিসায় আনা হয়েছে।’

তখন আদালত বলে, ‘উনাকে ছাড়া কি ভিকারুননিসা চলবে না?’

পরে আদালত ৩১ জানুয়ারি এই রিটের পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরামের নেতার ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করেন দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

এ রিটের শুনানির সময় গত ৯ আগস্ট আদালত বলেছিল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।

এরপর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপর দুই দফায় সময় দিলেও রিপোর্ট জমা হয়নি।

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এ বিভাগের আরো খবর