করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকির তালিকায় থাকা ১২ দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি লিখেছেন, ‘অনুরোদের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে যে, বাংলাদেশকে ওই লাল তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার গোটা ইউরোপ, যুক্তরাজ্যসহ ১২টি দেশকে ঝুঁকির তালিকায় রেখে একটি বিবৃতি দেয় ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের নাম।
অন্য দেশগুলো হলো সাউথ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
ভারতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে যাত্রীরা ভারতে আসার পরপরই বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
ওই পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার সনদ ছাড়া যাত্রীরা অন্য কানেক্টিং ফ্লাইটে যেতে পারবেন না।
যাত্রীদের মধ্যে যারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হবেন, তাদের আইসোলেশনে থাকতে হবে।
তাদের কারও মধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হলে তাদের নেগেটিভ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আইসোলেশন সেন্টারে থাকতে হবে।
যদি তারা অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন, তবে তাদের বিমানবন্দর ছাড়ায় বিষয়টি নির্ভর করবে চিকিৎসকের মতামতের ওপর।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ও অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার সার্বিক বিবেচনা শেষে চিকিৎসক তাদের ভারত ছাড়ার অনুমতিপত্র দিলে তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবেন।
সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে ভারতে আসা যাত্রীরা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর অষ্টম দিনে তাদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সেই পরীক্ষায় যদি তারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন, তবে তাদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হেল্পলাইনকে জানাতে হবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যাত্রীদের ভারতে আসার আগেরকার ১৪ দিনের ভ্রমণ ইতিহাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
কয়েক দিন আগে সাউথ আফ্রিকা থেকে আসা এক ভারতীয় নাগরিকের নমুনা পরীক্ষায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মহারাষ্ট্রের মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।