রাজধানীর রামপুরায় বাসের ধাক্কায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর অন্তত ৮টি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে আরও চারটি বাস।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা বিভিন্ন বাসে আগুন দিতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসসহ অন্তত আটটি বাসে আগুন ও চারটি বাস ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। মধ্যরাতেও রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাসেল নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার পর আশপাশের মানুষ অনাবিল পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দেয়। শুরু হয় ভাঙচুর। একের পর এক বাসে আগুন দেয় তারা।’
রাসেল জানান, ফায়ার সার্ভিস যখন আগুন নেভাচ্ছিল, তখনও অন্যান্য বাসে আগুন দিচ্ছিলেন উত্তেজিতরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে অসংখ্য মানুষ জড়ো হতে দেখা গেছে। নিহতের নাম মাইনুদ্দিন বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক জন। তিনি রাজধানীর একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাদ্দাম। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আছে পুলিশের একাধিক টিম।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা গাড়িতে আগুনের খবর পেয়েছি। আগুন নেভাতে কাজ করছে আমাদের একাধিক ইউনিট।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া বাস ও এর চালককে আটক করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত মানুষের পুড়িয়ে দেয়া একটি বাস। ছবি: নিউজবাংলা