বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব: বিএমএ

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ২২:২৬

বিএমএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আধুনিক পদ্ধতিতে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম, তা করোনাকালীন সময়ে দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কেননা এ সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা দেশেই চিকিৎসা নিয়েছেন।

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশেই সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

খালেদার চিকিৎসায় বিষয়ে সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিএমএ।

বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই এই রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম।’

বিবৃতিতে বিএমএর বর্তমান ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দেশের স্বনামধন্য ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সই রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আধুনিক পদ্ধতিতে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম, তা করোনাকালীন সময়ে দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কেননা এ সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা দেশেই চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিএমএর বিবৃতির এক দিন আগে রোববার বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত এবং দেশে এর যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব নয়।

লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসার সুপারিশ করেন।

তারা জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রীর যকৃৎ বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেয়া গেছে। তবে এখন তার যে অবস্থা, সেটি আবার সামাল দেয়া কঠিন হবে।

দুই থেকে তিনবার রক্তক্ষরণ সামাল দেয়ার কারিগরি সুযোগ বাংলাদেশে নেই দাবি করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি নেত্রীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ব্রিফিং করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। তারা দাবি করেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে রোগ হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির অল্প কয়েকটি বিশেষায়িত সেন্টারে তার চিকিৎসা সম্ভব। বাংলাদেশে এই চিকিৎসার কারিগরি সুযোগ-সুবিধা যেমন নেই, তেমনি ওষুধও নেই।

আরও চার মাস আগে বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে তার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতো না বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দলের গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান।

বিএমএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে যে বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানে তিনি বা তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে বিদেশ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এনে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে উনাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির আশংকা বেশী বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন। যা ওই হাসপাতালের চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকরাও এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন।’

সুতরাং, রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ীই দেশেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে জানিয়েছে বিএমএ।

বিবৃতিতে সই করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএর সাবেক মহাসচিব ডা. মো. শফিকুর রহমান, আরেক সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাজী শহিদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর