বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সূর্য সেন হলের টয়লেট, ক্যানটিনে প্রাধ্যক্ষ ‘নিখোঁজের’ বিজ্ঞপ্তি

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১৬

বিজ্ঞপ্তিটির কয়েকটি কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো ও টিএসসি এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, তবে বিষয়টি হলের কর্মচারীদের নজরে এলে তারা বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞপ্তির কপিগুলো ছিঁড়ে ফেলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি হলটির বিভিন্ন অংশে পাওয়া গেছে।

এতে প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার ছবি জুড়ে দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘মিসিং’।

রোববার দুপুরের আগ পর্যন্ত হলটির টয়লেট, ক্যানটিন ও দোকানগুলোর দেয়ালে ‘মিসিং’ লেখা সংবলিত এ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়।

বিজ্ঞপ্তিটির কয়েকটি কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো ও টিএসসি এলাকায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়, তবে বিষয়টি হলের কর্মচারীদের নজরে এলে তারা বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞপ্তির কপিগুলো ছিঁড়ে ফেলেন।

কী বলছেন শিক্ষার্থীরা

হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের প্রতি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। হলের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালেও কর্ণপাত না করা, দায়িত্বে অমনোযোগিতা, নিয়মিত হলে না আসা, শিক্ষার্থীদের ফোন রিসিভ না করাসহ আরও অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব কারণেই হয়তো শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিজ্ঞপ্তিটি লাগিয়েছে, তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলটির এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের হলের গেমস রুমে ভালো কোনো ক্যারম বা টেবিল টেনিসের বোর্ড নেই। অন্যান্য হলে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট বসানো হলেও আমাদের হলে এখনও এসবের কিছুই বসানো হয়নি।

‘হল সংসদের পক্ষ থেকে একাধিকবার এসব বিষয় জানানো হলেও প্রাধ্যক্ষ স্যার এসব দাবির প্রতি কর্ণপাতও করেনি।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের পানির ট্যাংকগুলো অনেক দিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। আমাদের মসজিদে কোনো ইমামই নেই। সম্প্রতি হলের একটি প্রোগ্রামে হল ছাত্রলীগের সাবেকদের ডাকা হলেও হল সংসদের কাউকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এ প্রাধ্যক্ষ মূলত দায়িত্ব সমন্বয় করতে পারেন না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষ স্যার নিজ থেকে উদ্যোগ নিয়ে আসলে কিছুই করেন না। হলে প্রাধ্যক্ষ থাকলেও নেই নেই অবস্থা। হলের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মোতালেবই (মো. আব্দুল মোতালেব) সব। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করা তো দূরের কথা, ব্যাকও করেন না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “একবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত মোনাজাত শেষে নাশতা দেয়া হয়নি। হল সংসদের নেতৃবৃন্দ স্যারকে ফোন দিয়ে নাশতার কথা জানালে তিনি বলেন, ‘কী বলো! অন্যান্য হলে খাবার দিচ্ছে নাকি?’ অর্থাৎ উনি এতই অমনোযোগী যে, বিভিন্ন উৎসবের দিন যে হলে খাবার দেয়া হয়, সেটিই তিনি জানেন না।”

‘উনি মিটিংয়ে আছেন’

হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান বলেন, ‘মিসিং বিজ্ঞপ্তিটা আমিও দেখেছি। দেখেই স্যারকে ফোন দিয়েছি। স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছে।

‘উনি মিটিংয়ে আছেন; মিসিং হননি, তবে এই বিজ্ঞপ্তিটি কারা লাগিয়েছে আমার জানা নেই।’

হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আছে কি না জানতে চাইলে সোহান বলেন, ‘প্রতিটি হলে খেলার জন্য আলাদা জায়গা থাকলেও আমাদের হলে এসবের জন্য আলাদা কোনো জায়গাই নেই। ওয়াশরুম এবং পানির ফিল্টারে সমস্যা। খেলার জন্য ব্যাডমিন্টন কোর্ট বসানোর কথা থাকলেও এখনও বসানো হয়নি।

‘অডিটোরিয়ামে খেলাধুলার কোনো ব্যবস্থা না রাখা, মসজিদের মাইকে সমস্যাসহ আরও অনেক সমস্যা আছে। আমরা এসব দাবি অনেকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।’

নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে দুপুরে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেনের হল অফিস কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়ার পাশাপাশি খুদেবার্তা পাঠালেও উত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর