আর্থিক ও পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা যথাক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যকার মতদ্বৈধতা নিয়ে বৈঠক ডাকার খবরেও পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না পুঁজিবাজার। টানা ষষ্ঠ দিনের দরপতনে সূচক নেমেছে সোয়া তিন মাসের আগের অবস্থানে, আর লেনদেন নেমেছে ৭ মাসের আগের অবস্থানে।
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে মতভিন্নতা, সেই সঙ্গে পৃথিবীতে করোনার নতুন ধরনজনিত কারণে নানা দেশে বিধেনিষেধ দেয়া হচ্ছে। দুইয়ে মিলে পুঁজিবাজারে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বিনিয়োগকারীরা বের হতে পারছেন না।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পড়ল ৭৮ পয়েন্ট। দিন শেষে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩ পয়েন্ট, যা গত ১৮ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৭৭১ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সূচকের টানা পতন। এ নিয়ে ছয় দিনেই সূচক পড়ল ৩১৮ পয়েন্ট।
গত দুই বছরে এর চেয়ে বেশি পতন চলতি বছরের ১০ থেকে ১৯ অক্টোবর দেখা দিয়েছিল। সে সময় টানা সাত কর্মদিবস সূচক পড়ে ৩৪৭ পয়েন্ট।
এর আগে গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় দিন পতন হয় ৬ কর্মদিবস।
দরপতনের দিন লেনদেন কমে সাড়ে আট শ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল গত ২৭ এপ্রিল। সেদিন হাতবদল হয় ৮২৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র
সপ্তাহের শুরুর এই পতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিড় ধরা আস্থায় আরও একটু পতন ঘটাবে সন্দেহ নেই। এর কারণ, পুরো সপ্তাহ পতন শেষে বৃহস্পতিবার খবর আসে পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসি। সেই খবরে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে কিছুটা হলেও ধারণা জন্মে। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি আর পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে বহুজন জানাচ্ছেন, তারা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপ বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে তাদের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন জানানোর নির্দেশ দেয়া ছাড়াও শেয়ার মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগসীমা এক দিনের জন্য অতিক্রম করে যাওয়ার পর বেশ কিছু ব্যাংককে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক বন্ডে যে বিনিয়োগ করবে, তা তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে হবে।
এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা করা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লেনদেনের তথ্যও প্রতিদিন জানানোর আদেশ এসেছে, যে আদেশ আসার পর বিএসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বলেছে, এটা তারা পারে না।
ওয়ান ব্যাংকের লভ্যাংশ ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল আগে থেকেই। সেই সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয়মূল্য নাকি বাজারমূল্যে হবে- এ নিয়ে মতপার্থক্য প্রায় এক দশক ধরেই। বাজারমূল্য বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করায় পুঁজিবাজারে অযাচিত ক্রয়চাপ তৈরি হয় আর গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দুই পক্ষের বৈঠক শেষে বিএসইসি জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রয়মূল্যে বিনিয়োগসীমা নির্ধারণে রাজি হয়েছে। কিন্তু আট মাসেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা হতাশাজনক। যে পতন হয়েছে, সেটা প্রত্যাশিত ছিল না। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে।
‘আমরা যে ফান্ডামেন্টাল শেয়ার কেনার জন্য বিনিয়োগকারীদের বলে থাকি, সেসব শেয়ারের দরও কমেছে। এ ছাড়া যেসব কোম্পানির শেয়ার বর্তমান দরে কিনলে ৬ থেকে ৭ পয়েন্ট ইল্ড পাওয়া যেত, সেগুলোতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লোকসান করছেন।’
আবু আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হলে হয়তো বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। শেয়ারের চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে একটি পর্যায়ে যাবে। এখন সে পর্যায়টি কত নিচে নামবে দেখার বিষয়।’
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই বিশ্লেষক বলেন, ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে নতুন বিনিয়োগ করে এই বাজার ওঠানো সম্ভব না। গত এক সপ্তাহে যারাই যে শেয়ারে বিনিয়োগ করে, সেখানেই লোকসান করেছে। এ জন্য এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে সক্রিয় হতে হবে।’
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি
দিন শেষে দর হারিয়েছে ২৯১টি কোম্পানি। এর মধ্যে কেবল ১০টি কোম্পানি দর হারানোর কারণে সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৩৯.৪৫ পয়েন্ট।
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে এই ১০টি কোম্পানি
সূচকের এই পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল গত দেড় বছরে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড। ৬ টাকা ৯০ পয়সা শেয়ার দর হারানোয় সূচক পড়েছে ১০.৬৮ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন কর্মদিবস পড়ল শেয়ারটির দর।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর ৩.৬৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক পড়েছে আরও ৬.১৫ পয়েন্ট।
রাষ্ট্রায়াত্ত আইসিবি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার, গ্রামীণফোন, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, এনআরবিসি, রবি, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও স্কয়ার ফার্মার দরপতনও সূচকের বড় পতনে রেখেছে প্রধান ভূমিকা।
পতনের আরও একটি দিনে দর বেড়েছে ৬৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে যে ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১২.৩৬ পয়েন্ট।
এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর ২.৬৭ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৩.৪৪ পয়েন্ট। এই কোম্পানিটির কারণেই সূচক বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
এ ছাড়া বিকন ফার্মা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ওয়ালটন, বাংলাদেশ সাবমেরিক কোম্পানি, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, একমি প্যাস্ট্রিসাইডস, সাইফ পাওয়ারটেক ও ইউনিক হোটেলের দর কিছুটা বাড়ায় সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ হয়েছে
দর বৃদ্ধির সেরা দশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পুরোনো কোনো কোম্পানি রোববার দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের প্রথম দুটিতে স্থান নিতে পারেনি। বরং সদ্য তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি, যাদের শেয়ার শেয়ারধারীরা বিক্রি করতে আগ্রহী নন সেগুলোই ছিল ওপরের দিকে।
এর মধ্যে বিমা খাতের সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স দর বেড়েছে ৯.৭৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে ১৫ হাজার ৩৯৮টি শেয়ার। লেনদেন হয়েছে ৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তারপরেই ছিল একমি পেস্টিসাইড, যার দর বেড়েছে ৯.৭৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সা। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য ছিল ৬৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধিতে এদিন তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটি উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১০ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৩টি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা আজিজ পাইপের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.০৫ শতাংশ। মোট ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনদেন হওয়া এই কোম্পানির হাতবদল হয়েছে ৮১ হাজার ৯৭০টি শেয়ার।
অলটেক্স ও আনোয়ার গ্যালভালাইজিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ৬.৬২ ও ৬.২৪ শতাংশ। অলটেক্সের ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ৮৫ হাজার ৮৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আনোয়ার গ্যালভালাইজিংয়ের ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকায়।
দরপতনের দিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ৬ খাত
৪.৩৪ শতাংশ দর বেড়েছে শীর্ষ দশের ৭ নম্বরে ছিল রহিম টেক্সটাইল। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৩৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। ৫ লাখ টাকায় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৭টি শেয়ার।
বিবিধি খাতের কোম্পানি আমান ফিড ছিল দর বৃদ্ধির ৮ নম্বরে। কোম্পানিটির ৪.০৬ শতাংশ দর বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য ছিল ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এ ছাড়া বস্ত্র খাতের শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৩.৭৫ শতাংশ, সমতা লেদারের দর ৩.৬৬ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের দর ৩.৬৩ শতাংশ এবং বিচ হ্যাচারির দর বেড়েছে ৩.৪৮ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
দর পতনের তালিকায় এগিয়ে ছিল তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৯.৮০ শতাংশ। শেয়ার দর ২০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে মোট ৬ কোটি ৫ লাখ ১৪৯টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাতের আরেক কোম্পানি কুইনসাউথের দর ৯.৭৩ শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের দর ৯.৪৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি বা বিআইএফসির দর কমেছে ৯.৪৭ শতাংশ।
এ ছাড়া এস আলম কোল্ডরোল স্টিলের শেয়ার দর কমেছে ৮.৭২ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৫ টাকা ১০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে মোট ৫৯ হাজার ৩৬৫টি শেয়ার।
হাওয়েল টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৬.১১ শতাংশ। শেয়ার দর ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৪৩ টাকা। লেনদেন হয়েছে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। হাতবদল হয়েছে ৬ হাজার ৫০৫টি শেয়ার।
এই ৬টি খাতের দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে
এপেক্স ট্যানারির শেয়ার দর কমেছে ৫.৯০ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ৫৭০টি শেয়ার।
দরপতনে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিক্যাল, জুট স্পিনার্স, দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম।
এদিন ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২৯টি কোম্পানির। ২ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ৬০টি কোম্পানির। ১ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ৮৪টির।
লেনদেনে ১০ কোম্পানি
রোববার লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.০৪ শতাংশ কমলেও লেনদেন হয়েছে ৯১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৩২টি শেয়ার। শেয়ার দর ১৭০ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬৩ টাকা ৩০ পয়সা।
ব্যাংক খাতের ওয়ান ব্যাংক গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রোববারও দ্বিতীয় স্থানে কোম্পানিটি। মোট লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯টি শেয়ার।
ব্যাংক খাতের আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৩টি শেয়ার।
প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৭৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা ২০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে মোট ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ১৬৮টি শেয়ার, যার বাজারমূল্য ছিল ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫টি শেয়ার। ডেল্টা লাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আনোয়ার গ্যালভালাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা, সাইফ পাওয়ার, এনআরবিসি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ফরচুন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ছিল লেনদেনের শীর্ষ তালিকায়।