ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাত ইউনিয়নে চলছে ভোট। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
সাত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজনসহ ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাত ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ৩২৮ জন এবং নারী ভোটার ৫৩ হাজার ৩০৬ জন।
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ওসমানগঞ্জ, আবাদুল্লাহপুর, রসুলপুর, চর মানিকা, অধ্যক্ষ নজরুল নগর, কুকরি-মুকরি ও আবু বকরপুর ইউনিয়ন।
এ দিকে সাত ইউনিয়নের ৬৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ। ওইসব কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। ছবি: নিউজবাংলাসাত ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে। এর ফলে সাত ইউপিতে মেম্বার (সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য) পদে নির্বাচন হলেও চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে দুই ইউনিয়নে। ইউনিয়ন দুটি হলো কুকরি-মুকরি ও ওসমানগঞ্জ।
এদিকে বিচ্ছিন্ন চর কুকরি মুকরিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিয়া কবিরের এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটারদের সামনে ভোট প্রদান করার অভিযোগ করেছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা। মাঠে রয়েছে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স নিয়োজিত আছেন।
ভোলা জেলা নির্বাচন অফিসার আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, ‘সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। বেলা বাড়লে ভোটার আরও বাড়বে। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রতীকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’