ফেনীর তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতা করে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন দলেরই তিন নেতা। নির্বাচনে প্রচারও করেছেন। তবে ভোটের দুদিন আগে সরে দাঁড়িয়েছেন তারা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের প্রতীক অবশ্য থাকছে ব্যালটে। তবে নৌকা প্রতীককে সমর্থন করে প্রকাশ্যে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ফিরে পাচ্ছেন দলীয় পদ।
এর আগে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার জন্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
তিন প্রার্থী হলেন মহামায়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গরীব শাহ হোসেন চৌধুরী বাদশাহ, রাধানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মান্না ও ঘোপাল ইউনিয়নে ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শি`ক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ভূঁঞা রনি।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর শুক্রবার তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার বলেন, ‘শুক্রবার তিন আওয়ামী লীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।’
তিনি জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বহিষ্কৃত নেতারা নৌকাকে সমর্থন করার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে জেলা আওয়ামী লীগ জরুরি সভায় তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিজ নিজ পদে পুনর্বহাল করেছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, ‘বিদ্রোহীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
‘ছাগলনাইয়া, সর্বোপরি ফেনীতে নৌকা প্রতীকের বিকল্প আর কোনো প্রতীক হতে পারে না। এখানে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধভাবেই নৌকায় জয় ঘরে তুলবে।’