সভা, সমাবেশ, স্লোগানের মাধ্যমে শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের প্রচার। রোববার দেশের ১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে। নানা কারণে স্থগিত হয়েছে সাত ইউপির ভোট।
১০ হাজার ১৫৯টি কেন্দ্রে নেয়া হবে ১ হাজার ইউপির ভোট। তার মধ্যে ৩৩টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। বাকিগুলোতে থাকবে ব্যালট পেপার।
শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো শুরু হয়েছে নির্বাচনি সামগ্রী। তবে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাবে ভোটের দিন সকালে।
লক্ষ্মীপুরে বেলা ১১টার দিক থেকে প্রিসাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে দুই উপজেলার ২০ ইউনিয়নের ১৯২ কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়।
তালাবদ্ধ বাক্সে পাঠানো হচ্ছে ইভিএম
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, ইউপি নির্বাচনে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও রোববার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
জেলা পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদি কেউ ভোট নিয়ে অন্য কোনো চিন্তা করে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে।’
- আরও পড়ুন: সাত ইউপিতে ভোট হচ্ছে না রোববার
মেহেরপুর সদর উপজেলার দুটি ও গাংনী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ সময় নিজ নিজ উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন দুই উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা কবির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।
দেশের বাকি ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতেও শনিবার সারা দিনে নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ইউপির মধ্যে ৫৬৯ জন প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১০০ জন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য ৩৩৭ ও সংরক্ষিত সদস্যপদে জয়ী হয়েছেন ১৩২ জন।
ইসি জানায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের বাদ দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫০ হাজার ১৪৬ প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে মাঠে আছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। সংরক্ষিত সদস্যপদে ১১ হাজার ১০৫ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ হাজার ৬৩২ জন ভোটে লড়াই করছেন।
সারা দেশে এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৯ হাজার ২৭৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ২১ লাখ ৫ হাজার ৪২৩ ও নারী ভোটার ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৩০ জন। এর বাইরে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন ১৯ জন।
একই দিনে অষ্টম ধাপে ৯টি পৌরসভায়ও ভোট হবে। ভোট নেয়া হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। নীলফামারীর জলঢাকা ও কক্সবাজার পৌরসভায় শুধু কাউন্সিলর পদে ভোট হবে।