এ যেন ঘরের লড়াই। ভোটের লড়াইয়ে রাজনীতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেই। তবে আওয়ামী লীগের নৌকার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রতীকে লড়াই করা দলের নেতারাই আবির্ভুত হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।
রোববার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৭১ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৫ জন। বিএনপি ভোটে না এলেও তাদের ছয় নেতা লড়াই করছেন স্বতন্ত্র হিসেবে।
এই ১৩ ইউনিয়নের প্রতিটিতেই নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
তারা হলেন: বীরগাঁওয়ে কবীর আহমেদ, নবীনগর (পূর্ব) ইউনিয়নে শামছুল হক, নবীনগর পশ্চিমে মো. কাউসার, শ্রীরামপুরে আজহার হোসেন সরকার, লাউর ফতেপুরে নাজমুল হাসান ও জাহাঙ্গীর আলম, জিনদপুরে আবুল বাশার ও রবিউল আউয়াল, সাতমোড়ায় মোমেন মিয়া, রসূল্লাবাদে খন্দকার মনির হোসেন, শ্যামগ্রামে শাহজাহান শিরাজ, বড়িকান্দিতে আনোয়ার পারভেজ ও মুর্শেদ হোসেন, ছলিমগঞ্জে আশিকুর রহমান, রতনপুর ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা ফারুক।
এই ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ৬টিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। তারা হলেন: শ্রীরামপুরে খায়রুন্নেসা, ইব্রাহিমপুরে নোমান চৌধুরী, লাউরফতেপুরে আবদুল কাহহার, সাতমোড়ায় শাহীন সরকার ও মোহাম্মদ শাহজাহান, নবীনগর (পশ্চিম) নূর আলম ও শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে আমির হোসেন ।শ্রীরামপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আজহার হোসেন সরকার গতবার ভোটে জিতেছিলেন। তবু তাকে নৌকা দেয়নি দল। বলেছেন, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, ১৩ ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৯০ জন ভোটার রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটসহ সস্রাধিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।