শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া নিয়ে শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন বিআরটিএর কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া নির্ধারণ করতে এর আগে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষাসচিবদের সঙ্গে বিআরটিএ বিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাস ভাড়া ঢাকা সিটিতে বেশি নেয়া হচ্ছে। অধিকাংশই সরকারনির্ধারিত ভাড়া উপেক্ষা করেছে। আর গালিটা শুনতে হচ্ছে আমাদের। মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে আমরা ভাড়া নির্ধারণ করছি- এমন কথাও শুনতে হচ্ছে। আপনারা কথা দিয়েছেন। তা মানতে হবে। অন্যথায় আমাদের কঠোর হতেই হবে।’
শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া কমানোর আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসিতে আমরা একটা যৌক্তিক ছাড় দেয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু বিআরটিসি একা করলে হবে না। মালিক-শ্রমিকদের বলছি, সমস্যাটির একটি যৌক্তিক সমাধান নিয়ে আপনারা চিন্তাভাবনা করুন।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হাফ ভাড়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা এবং তা নিয়ে বিএনপির দাবিদাওয়া নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার গলাটিপে মারছে না। বয়সের কারণে, অসুস্থতার কারণে, অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কেউ সরকারের ওপর দোষ চাপাতে পারবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদ জিয়া ইস্যুতে আইনের বাইরেও এক্সিকিউটিভ অথরিটিতে প্রধানমন্ত্রী যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার তুলনা হয় না। এখন তিনি বাসায় আছেন, এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না তার চেয়ে বেশি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘বিএনপি বলছে খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে। সরকার তো তাকে গলাটিপে মারছে না। জন্মের সঙ্গে মৃত্যু জড়িত। কোনো কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তার দায় আপনারা সরকারের ওপর চাপাতে পারবেন না।’