বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এজলাসের বাইরে ক্ষোভ ঝাড়লেন মামুনুল

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২৮

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হচ্ছিল মামুনুলকে। প্রায় দেড় ঘণ্টার শুনানি শেষে এজলাস থেকে বাইরে এলে পুলিশের এক সদস্য তার হাত ধরেন। আর এতেই রেগে উঠেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক এই নেতা।’

পুলিশের ওপর ভীষণ চটেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বুধবার বেলা সাড়ে দুপুর ২টার দিকে মামুনুলকে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হচ্ছিল মামুনুলকে। প্রায় দেড় ঘণ্টার শুনানি শেষে এজলাস থেকে বাইরে এলে পুলিশের এক সদস্য তার হাত ধরেন। আর এতেই রেগে উঠেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক এই নেতা।’

সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ঘটনাটি ধরা পড়ে। সেখানে দেখা যায়, এজলাস থেকে বের হওয়ার পর মামুনুলের দুই বাহু ধরে রেখেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। মামুনুল তখন হাত ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে বলেন, ‘হাতকড়া লাগাইসে, আবার টানতেসেন কেন?’

পুলিশ সদস্য তখন তার এক হাত ছেড়ে দেন।

পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আদালত থেকে বেরুনোর সময় হেলমেট পড়তেও নারাজ ছিলেন মামুনুল। হাতকড়া নিয়েও তার ভীষণ আপত্তি ছিল। আদালতে বাদী ঝর্ণার ওপরও রাগ দেখান তিনি।’

এজলাসের কার্যক্রম শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামুনুল ঝর্ণার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয়। পরে স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হলে মামুনুল তাকে ঢাকায় একটি বাসায় রাখতেন এবং নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন।

‘মামুনুল কোথায়, কখন নিয়ে ধর্ষণ করেছেন তা আদালতকে জানিয়েছেন ঝর্ণা। বিয়ের প্রলোভনে রয়্যাল রিসোর্ট ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে তিনি এ কাজ করেছেন। তবে মামুনুল বারবার দাবি করেছেন ঝর্ণাকে তিনি বিয়ে করেছেন।’

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন মামুনুল। শুরুতে তিনি ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করলেও পরে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

এরপর ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা। অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার আশ্বাস দেখিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। বিয়ে করবেন বলে আর করেননি।

এই মামলার আগেই ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল। এরপর সহিংসতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।

ঝর্ণার মামলার পর তাকে এই মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর