বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বেক্সিমকো হেলথ ও জাপানি প্রতিষ্ঠান কে টু লজিস্টিকসের মধ্যে উৎপাদন ও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরামর্শবিষয়ক চুক্তি হয়েছে।
এর মাধ্যমে পিপিইর গুণগত মান আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বুধবার বিকেলে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যেমন সেতুবন্ধন তৈরি হবে, তেমনিভাবে তাদের লজিস্টিক পরামর্শে আমাদের পিপিইর গুণগত মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
‘জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করেছি। আজ আমাদের মধ্যে যে চুক্তি হচ্ছে এটি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বেসরকারি খাতের একটি স্মরণীয় দিন। আশা করি এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সমৃদ্ধ হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে যখন পিপিই সংকট দেখা দিয়েছিল, তখন বেক্সিমকো সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে। সংকট মুহূর্তে আমাদের কর্মীরা ঈদের দিনেও কাজ করে সঠিক সময়ে পিপিই উৎপাদন করেছে।’
অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাউকি ইতো বলেন, ‘আমি বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে অভিনন্দন জানাই করোনা মহামারি মোকাবিলায় সাফল্যের জন্য। কে টু লজিস্টিক পিপিইর গুণগুত মান ও উৎপাদন পরামর্শদাতা হিসেবে বেক্সিমকো হেলথের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
‘ফলে আমরা বলতে পারি, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বেসরকারি খাতে একটি নতুন যাত্রার সূচনা হলো। আমি তাদেরও অভিনন্দন জানাই।’
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপ ডিরেক্টর ও সিইও সৈয়দ নাভেদ হোসেন ও বেক্সিমকো পিপিই লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মহিদুস সামাদ খান।
এতে উপস্থিত ছিলেন ইটোচু ঢাকা অফিসের জিএম ও জাপানিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তেতসুরো কানো, মারুবেনি ঢাকা অফিসের জিএম ও জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিকারু কায়াই, জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকায়া, জেট্রো ঢাকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজো আন্ডো, কে টু লজিস্টিকস বাংলাদেশ লিমিটেডের উপদেষ্টা ডা. মোয়াজ্জেম হুসাইনসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সৈয়দ নাভেদ হোসেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাউকি ইতো, এএসএফ রহমান ও অন্যান্য ভিআইপি অতিথিরা। পেশাগত পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণে জাপানিজ প্রযুক্তি ও সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে তাদের বক্তব্যে।