পটুয়াখালী সদরে রাজনৈতিক কারণে সদ্য সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালককে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মজনু মোল্লার বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বুধবার বেলা ১১টার দিকে তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বর আনুমানিক রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালক মাসুদ রানা ব্যাপারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মজনু সে সময় বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
স্থানীয় শ্যামল ডাক্তারের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে ৬ নভেম্বর সকালে মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
- আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের চালককে কুপিয়ে হত্যা
মরদেহ উদ্ধারের পর নিউজবাংলাকে মজনু বলেন, ‘শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আমার কর্মী সত্তার হাওলাদারকে তার বাড়িতে মোটরসাইকেলে করে পৌঁছে দিয়ে আসে মাসুদ। এরপর আর ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মাসুদের মরদেহ পাওয়ার খবর পাই।’
এ ঘটনায় মাসুদের ভাই মাহফুজুর রহমান অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আল আমিন নামের একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের নাম জানিয়েছেন।
আল আমিনের জবানবন্দি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় বিল্লার হোসেন নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিল্লারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে মজনুর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে একটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি রামদাসহ আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মাসুদ রানাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মজনু জড়িত কি না তা আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
‘যেহেতু হত্যায় যারা জড়িত ছিল তাদের গ্রেপ্তার করতে এবং যেসব অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে সেগুলো আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি, তাই এ ঘটনার নেপথ্যের ঘটনা উদ্ধার করতে পারব বলে আশা করি।’