কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তিন জনকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
আটকের পর তাদের দেয়া তথ্যে পাহাড়ের মাটিতে পুঁতে রাখা ১০টি অস্ত্র ও বেশকিছু গুলি উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা পাহাড়ে মঙ্গলবার ভোরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ছামিরাঘোনা এলাকার রফিকুল ইসলাম মামুন, একই ইউনিয়নের চিকনী পাড়ার মোহাম্মদ রিফাত ও আইয়ুব আলী।
র্যাব জানায়, গত ৫ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়ায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
তারপর থেকে একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৫।
তদন্তে গিয়ে ২২ নভেম্বর বান্দরবানের লামারর ফাইতং থেকে হত্যাকাণ্ডের হোতা, প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম মামুন ও তার সহযোগী রিফাতকে আটক করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যে মামলার ১২ নম্বর আসামি আইয়ুব আলীকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মহেশখালী থেকে ১০ অস্ত্রসহ আটক তিন
মূলত নিজেদের অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে লুকিয়ে ছিলেন তারা।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মহেশখালীর কালারমারছড়ার ছামিরা ঘোনা পাড়ের মাটি খুঁড়ে ৪টি এক নলা বন্দুক, একটি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, তিনটি এলজি, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর শেখ ইউসূফ আহমেদ জানান, একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শেষে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কক্সবাজারে মাদক ও সন্ত্রাস দমনে র্যাব-১৫ কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসব সন্ত্রাসী ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।’