বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবককে বেঁধে পিটিয়ে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০১:৫২

থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, তার ভাতিজা মো. সিয়াম, আব্দুল মজিদ, ছেলে সামছুল হক ও নাতি সিহাব; পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মো. মজিবর, রাজন, শামীম, নাছিমা আক্তার ও রাশেদা বেগম।

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তার ৮ সহযোগীকে।

সোমবার ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। রাতে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ ২৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

ধামরাই থানার এসআই আরাফাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জেরে ইসরাফিল হোসেনকে নির্যাতন করা হয় বলে জানান স্বজনরা।

ইসরাফিলের ভাই আব্দুল আউয়াল নিউজবাংলাকে বলেন, 'ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধ হয় মজিবুর রহমান ও ইসরাফিলের। অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ায় মজিবুর ভোটের আগ থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিলেন। জয়ের পর সোমবার দুপুর ১২টায় চেয়ারম্যান লোক পাঠিয়ে ডেকে নেন ইসরাফিলকে। এরপর সূত্রাপুর বাজারে হাত-পা বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। ইসরাফিলকে নির্যাতনের সময় চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

'স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের ৪-৫টি গাড়ি। তখন চেয়ারম্যান এলাকার মসজিদে মাইকিং করে অন্য কথা বলতে থাকেন। তার সমর্থকদের যার যা আছে, তা নিয়ে বাজারে আসতে বলেন।'

মারপিটের পর এভাবেই ফেলে রাখা হয় ইসমাইল হোসেনকে। ছবি: নিউজবাংলা

পুলিশ দুপুরেই ঘটনাস্থল থেকে মজিবুর চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে থানায় নিয়ে যায়। তবে তাদের আটকের বিষয়টি রাত পর্যন্ত স্বীকার করেননি ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ।

বিকেলের একটি ছবিতে দেখা যায়, থানা হাজতের ভেতরে মেঝেতে বসে আছেন চেয়ারম্যান ও তার ৮ সহযোগী। রাতে মামলা নেয়ার পর পুলিশ স্বীকার করে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের কথা।

থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, তার ভাতিজা মো. সিয়াম, আব্দুল মজিদ, ছেলে সামছুল হক ও নাতি সিহাব; পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মো. মজিবর, রাজন, শামীম, নাছিমা আক্তার ও রাশেদা বেগম।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সূত্রাপুর এলাকায় মারপিটের ঘটনা যখন চলছিল, তখন চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ ইসরাফিলকে রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। পুলিশ গিয়ে ইসরাফিলকে উদ্ধারের পর ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর