সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের নিরাপদতম শিল্পে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। বাকি শিল্প খাতে এমন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায় জাতিসংঘ। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতা জরুরি জানিয়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীক সংগঠন এফবিসিসিআইকে পাশে দেখতে চায় জাতিসংঘ। শিল্পখাতে সার্বিক কর্ম পরিবেশের উন্নয়নে এজন্য একসঙ্গে কাজ করতেও রাজি।
সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এমন আগ্রহের কথা জানান জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।
এ সময় তিনি রানা প্লাজা পরবর্তী পোশাক খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সম্প্রতি এফবিসিসিআই ও বিডার যৌথ উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। বর্তমান কমিটির উদ্যোগে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল স্থাপনের বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে আসে।
টুমো পোটিআইনেন জানান, বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন আইএলওর সঙ্গে কাজ করে আসছে। এর পাশাপাশি এফবিসিসিআইকে পাশে পেলে বাংলাদেশের শ্রমখাতকে আরও উন্নত করা সহজ হবে।
যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং এফবিসিসিআইএ দুই সংগঠনের মধ্যে দুটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে বিষয় গুরুত্ব পায়। বলা হয়, ওই দুই গ্রুপ যৌথভাবে আইএলওর তৈরি খসড়া কর্মপরিকল্পনা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত করবে।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন আইএলওর মাধ্যমে জাতিসংঘের নেয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি জানান, এফবিসিসিআই ও বিডার উদ্যোগে এরইমধ্যে ১০৮টি কমিটি গঠিত হয়েছে যারা প্রাথমিক ভাবে ৫০০টি কারখানা পরিদর্শন করবে।
আইএলওর তৈরি খসড়া কর্মপরিকল্পনা যাচাই করে এফবিসিসিআইয়ের বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে তাদের মতামত দেবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রে. জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ।