বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাকাত সন্দেহে ৬ ছাত্র হত্যা: রায় ২ ডিসেম্বর

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৩০

হত্যার ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। পরে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মুখে ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় গ্রামবাসীদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

নয় বছর আগে রাজধানী সংলগ্ন আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় আগামী ২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এই রায়ের তারিখ ঠিক করেন। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তারিখ ঠিক করা হয়।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাংলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।

নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।

ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক।

এরপর শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মুখে ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় গ্রামবাসীদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে।

পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে আসে।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে ও এক আসামি মারা যান। এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শাকিলা জিয়াসমিন মিতু।

মামলার ৬০ আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর