পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ভগ্নিপতি ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শ্যালক জাসফিকুর রহমান অশ্রু। এ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অশ্রুর পাশাপাশি তার মা ও বোনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর গাবতলীর কোটবাড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৮ বছর বয়সী ফারুক আহমেদকে। শ্বশুরের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে ফারুককে গুলি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ফারুকের শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আছিবুর রহমান তুষার গ্রেপ্তার তিন আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করেন।
হত্যা মামলায় তিন আসামির মধ্যে অশ্রু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাওয়ায় আদালতে তার ব্যাপারে পৃথক আবেদন করা হয়। অপর দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এ ঘটনায় অস্ত্র মামলার একমাত্র আসামি অশ্রুকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৫ দিনের হেফাজতে নিতে পৃথক আবেদন করেন একই তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আসামি অশ্রুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমানের আদালত অস্ত্র মামলায় অশ্রুকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করে তার রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ঠিক করে।
সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
নিহত ফারুক হোসেনের মা আজমেরী বেগম দারুস সালাম থানায় যে হত্যা মামলা করেছেন সেখানে আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে। আর অশ্রুকে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র মামলা করেন এসআই রিয়াজুল।