বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির অনশনে খাবারের দোকানের বিক্রি ভালো হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৩

‘গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ নেয়ার জন্য নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন জায়গায় গণ-অনশন করা হয়েছে। নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে দোকানপাট থেকে খবর যেটি জানা যাচ্ছে, গণ-অনশনের সময় সেখানে খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপির অনশন কর্মসূচির দিন নয়াপল্টনের খাবারের দোকানগুলোতে বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ভালো করা নয়, বিএনপি চায় বেগম জিয়া সব সময় অসুস্থ থাকুক। তাহলে ওনারা সব সময় বলতে পারবেন তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছেন, যেটি অনভিপ্রেত।

‘গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ নেয়ার জন্য নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন জায়গায় গণ-অনশন করা হয়েছে। নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে দোকানপাট থেকে খবর যেটি জানা যাচ্ছে, গণ-অনশনের সময় সেখানে খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য রেখেছেন যাদের মানুষ রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মনে করে। যারা রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে গেছেন, তারা সেখানে গিয়ে অনেকেই তাদের গুরুত্বটা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা হয় এবং ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বমানের বেশ কয়েকটি হাসপাতালও হয়েছে। বেগম জিয়াকে তার হাঁটুর ব্যথার জন্য কিংবা পেটের অসুবিধার জন্য কেন বিদেশ পাঠাতে হবে?’

খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কথায় কথায় তারা বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চাচ্ছেন, নাকি বেগম জিয়া পালাতে চাচ্ছেন, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।

‘আগেও বেগম জিয়া যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও বিএনপি তাকে বিদেশ পাঠানোর এই জিকির তুলেছিল। কিন্তু তিনি দেশেই চিকিৎসায় ভালো হয়েছেন। অবশ্যই বেগম জিয়া সুস্থ থাকুক, দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরত যান, আমিও সে কামনা করি। কিন্তু এ নিয়ে রাজনীতি অনভিপ্রেত।’

এ সময় টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন মন্ত্রী। বলেন, ‘অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং অনেক সমস্যা আছে। বাংলাদেশে সম্প্রচারের জন্য বিদেশি চ্যানেলকেই আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড পাঠাতে হবে। কেব্‌ল নেটওয়ার্কে টিভির ক্রম ঠিক ছিল না, এখন হয়েছে। কেব্‌ল অপারেটররা নিজেরাই বিজ্ঞাপন দেখাত, সেগুলো বন্ধ হয়েছে।

‘বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পীপ্রতি দুই লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। এতে দেশি শিল্পীদের উপকার হবে। অন্যান্য দেশে কীভাবে টেলিভিশনগুলোর রেটিং করা হয়, সেগুলো পরীক্ষা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি এবং খুব সহসা আমরা এতে শৃঙ্খলা আনব। বিভিন্ন টেলিভিশন কোম্পানি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছে। তাদের সেই লাইসেন্স দেয়া হয়নি। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে কেউ কিছু করবে সেটি হতে পারে না।’

কেবল লাইন ডিজিটাল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ জন্য সবার সহযোগিতা ও প্রচার প্রয়োজন, কারণ অযাচিতভাবে বেশি টাকায় সেটটপ বক্স বিক্রি করা না হয়, সেটা আমরা মনিটর করব।’

এ বিভাগের আরো খবর