বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞার আগেই শিশুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বাবা

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৪৫

আইনজীবী বিপুল বাগমার জানান, ১৬ নভেম্বর ওই শিশুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তবে রোববার পুলিশ জানিয়েছে, আদেশের দিন সকালে কাতার এয়ারওয়েজে একটি ফ্লাইটে শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। 

শিশু সন্তান নিয়ে ভারতীয় মা আর বাংলাদেশি বাবার আইনি লড়াইয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশের আগেই দেশত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন বাবা।

তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবা সানির টি আই এম নবী অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন এমন তথ্য আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন তথ্য জানিয়েছে বাহিনীটি।

আদালতে শিশুটির মা ভারতীয় নাগরিক সাদিকা শেখের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী বিপুল বাগমার জানান, ১৬ নভেম্বর ওই শিশুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। তবে রোববার পুলিশ জানিয়েছে, আদেশের দিন সকালে কাতার এয়ারওয়েজে একটি ফ্লাইটে শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।

২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ওই শিশুকে আপাতত মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ দেয়। আর বাবা সপ্তাহে তিন দিন শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে বলে আদেশ দেয়া হয়।

ওই আদেশের পর শিশুটির কথা চিন্তা করে গুলশান ক্লাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে জিডি করেন বাবা। জিডি মূলে নন-এফআইআর মামলাও হয়। আর কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে যান বাবা।

বিষয়টি আদালতে জানালে ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট শিশুটিকে পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে আইনজীবীর চেম্বারে হাজির করতে বলেন। তবে শিশুটিকে হাজির করেনি তারা।

এ কারণে আমাদের আবেদনে শিশুটিকে বিদেশ নেয়ার নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। আর পরদিন ১৭ নভম্বের আদালত ওই শিশুকে বাবাসহ ২১ নভেম্বর বিকেল ৩টার মধ্যে আদালতে হাজির করাতে পুলিশের ঢাকা মহানগর কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

তবে রোববার পুলিশ জানায় শিশুটির বাবা দেশত্যাগ করেছেন। পরে আদালত আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে হায়দরাবাদের সাদিকা শেখ নামে এক নারীকে বিয়ে করেন বারিধারার বাসিন্দা সানিউর টি আই এম নবী। বিয়ের পর তারা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন। কয়েক মাস পর তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।

এরই মধ্যে ওই দম্পতির এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে করোনা মহামারির সময় তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। এমনকি ভারতের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাদিকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

বিষয়টি ভারতে মেয়েটির স্বজনরা জানতে পারেন। এরপর ওই দেশ থেকে তাদের পরিবারের পক্ষে প্রথমে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়। এরপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি।

পরে সাদিকার বোন মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান। এর মধ্যে সাদিকাকে ডিভোর্স দেন নবী।

পরে একটি মানবাধিকার সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৬ আগস্ট মাসহ শিশুটিকে হাজির করতে নির্দেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর