গাজীপুরের টঙ্গী ব্রিজ রাতে খুলে দেয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিজের সংস্কারকাজ শেষ হলেও ঢালাই অংশে বিটুমিনের প্রলেপ কাঁচা থাকায় ব্রিজ খুলে দেয়া হয়নি। রোববার সকালে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে।
টঙ্গী ব্রিজ পরিদর্শনে শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে যান সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর ও বিআরটি প্রকল্প পরিচালক (সেতু) মহিরুল ইসলাম খান।
পরিদর্শন শেষে প্রকৌশলী আব্দুস সবুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সংস্কারকাজ শেষ করতে পেরেছি। আশা করি, যান চলাচলে আর কোনো অসুবিধা থাকবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী মার্চ মাসে তুরাগের ওপর বিআরটির ৫ লেনের সেতুটি চালু করা হবে।
প্রকৌশলী আব্দুস সবুর বলেন, গত ১০ দিন টঙ্গী সেতু বন্ধ থাকায় চলাচলে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পাশের কামারপাড়া সড়ক ও বেইলি ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল করেছে। এতে কিছুটা যানজটের মুখে পড়তে হয়েছে এ পথে চলাচলকারীদের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিআরটি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ব্রিজ চলাচলের উপযোগী করে দিলে সেটি খুলে দেয়া হবে। রাতে ব্রিজের ওপর শেষ মুহূর্তের সংস্কার কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ব্রিজটি বন্ধ থাকায় বেশ কিছু জায়গায় এক লেনে গাড়ি চলাচলের জন্য বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিআরটি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, সেগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য।
গত ৯ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে সেতুর একটি স্ল্যাবের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। ১০ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে সেতুটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
এতে উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় ঢোকে। আর ঢাকার গাড়িগুলো বিশ্ব ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে কামারপাড়া হয়ে রাজধানী ছাড়ে।