বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনশন শেষে সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:১৩

গণ-অনশন শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এবার খালেদার মুক্তি কিংবা তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে এবং তার মুক্তির দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। সোমবার এ কর্মসূচি পালিত হবে।

খালেদার মুক্তি ও তাকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা করানোর দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গণ-অনশন শেষে এ ঘোষণা দেয় বিএনপি।

ঘোষণায় দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এবার খালেদার মুক্তি কিংবা তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’

এর আগে সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে কয়েক হাজার কর্মীর সঙ্গে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বেগম জিয়ার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সরকারের কাছে বারবার আবেদন করলেও ফ্যাসিস্ট সরকার সুযোগ দিচ্ছে না। আজকের এই কর্মসূচি ১৬ কোটি মানুষের।’

খালেদা জিয়াকে সরকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন। সে কথা বাদ দিলাম। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে সুস্বাস্থ্য তার মৌলিক অধিকার। আজকে তাকে তার মৌলিক অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে, সে জবাব সরকারকে দিতে হবে।’

বিএনপির এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নাগ‌রিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যত বাধাবিপত্তি আসুক না কেন, আপনাদের এই কর্মসূচ যেন চলতে থাকে। তারপরে সব মানুষকে একত্রিত করে আন্দোলন এমন পর্যায়ে নিতে হবে, যাতে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বলতে চাই, আপনারা যেকোনো সময় একবার শুধু ঘোষণা দেন, আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রস্তুত আছি, গণভবন ঘেরাও করব। আমাদের দেশনেত্রীর মুক্তি ও দেশ বাঁচানোর এই আন্দোলনে আমরা সফল হব ইনশাল্লাহ।’

গণ-অনশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ আরও অনেকে।

১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

খালেদার অবস্থা ভালো নয় বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। মানবিক স্বার্থে হলেও দলীয় প্রধানকে বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিদেশ পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বারবার বলেছেন, বিএনপিপ্রধানের করা আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনারও ইঙ্গিত খালেদাকে বিদেশে যেতে না অনুমতি দেয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর