বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মরফিনের ট্যাবলেট

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৫

মরফিন একটি ইউফোরিক ড্রাগ। এটি মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িকভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যথার সিগনাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসার হয়ে যায়। মূলত মাদকসেবীরা অক্সি মরফোন গুড়া করে যেকোনো সিরাপ, পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে।

তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে ক্যান্সার, হৃদরোগ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় মরফিন ট্যাবলেট। এটি লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট রোগীদের জন্য বিক্রির কথা। তবে বর্তমানে এই ব্যথানাশক ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হচ্ছে।

বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী এই অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যবহার করছে, যা কফের সিরাপ বা পানি দিয়ে সেবন করেন তারা।

খোলাবাজারে অবৈধভাবে এই অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। এরা এই ট্যাবলেটের ২০ পিস দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করত। বাজারে ২০ পিস অক্সি-মরফোনের দাম ৪০০ টাকা।

শুক্রবার চক্রের দুই সদস্যকে রাজধানীর বাবু বাজার মাজারের সামনে থেকে অক্সি-মরফোন ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

এরা হলেন আলমগীর সরকার ও জাহিদুল ইসলাম। এদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে কোতোয়ালি থানার মিটফোর্ড এবং ধানমন্ডি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ১৩ হাজার পিস ও মরফোন উদ্ধার করা হয়।

শনিবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান।

ডিবি জানিয়েছে, অক্সি-মরফোন হলো মরফিনের একটি অ্যানালগ ভার্সন, যা এনালজেসিক ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার হয়। এটি ইনজেকশন থেকে ওরাল ফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি মূলত মস্তিষ্কে কাজ করে। তীব্র ব্যাথানাশক হিসেবে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

মরফিন একটি ইউফোরিক ড্রাগ। এটি মস্তিষ্কে প্রচণ্ড আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িকভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যথার সিগনাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসার হয়ে যায়। মূলত মাদকসেবীরা অক্সি-মরফোন গুড়া করে যেকোনো সিরাপ, পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খায়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রি ও বাজারজাতের অনুমোদন দেয়। এটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স দেখিয়ে, কোন পথে যাবে, কার কাছে যাবে এসব কিছু জানানোর পর বিক্রি করা হয়।

মরফিনের ট্যাবলেটসহ রাজধানীর বাবু বাজার থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এটি তালিকাভুক্ত মাদক। সাধারণ ওষুধের মতো এই অক্সি-মরফোন বিক্রির সুয়োগ নেই। মাদকসেবীদের কাছে অবৈধভাবে এই মাদক বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।’

ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্ধারিত কোম্পানি থেকে এই ট্যাবলেটগুলো অবৈধভাবে আসামিদের কাছে এসেছে। এই ১৩ হাজার ট্যাবলেটের বড় একটা অংশ কুরিয়ারের মাধ্যমে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছে। যিনি এই ট্যাবলেটগুলো পাঠিয়েছেন তিনি আগের মামলায় পলাতক আসামি। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড পরিমাণে ভয়ংকর ড্রাগ হওয়ায় কোম্পানিগুলো তাদের প্রচলিত মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে। এর বিপণন নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরও এতো বিপুল সংখ্যক ড্রাগ আসামিদের কাছে কীভাবে এলো সেটি তদন্তাধীন রয়েছে।’

ডিবির লালবাগ বিভাগ নকল ওষুধ তৈরি ও সরবরাহ বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তারা ইতোমধ্যে লাইসেন্সধারী কারখানার সন্ধান পেয়েছে। এসব লাইসেন্সধারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ ও ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর