পটুয়াখালী সদরে বিএনপির গণ-অনশন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত আটজন আহতের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ বলছে, ছাত্রলীগ নয়, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের অন্তঃকোন্দলের কারণে সংঘর্ষে জড়ান।
শহরের বনানী এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারা দেশে শনিবার সকাল ৯টা থেকে অনশন শুরু করে বিএনপি। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতেও দলীয় নেতা-কর্মীরা অনশনে বসেন।
আহতরা জানান, অনশন কর্মসূচি শুরুর আগেই ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। বিএনপির লোকদের পিটিয়ে আহত করে, ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে চলে যান।
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মাহবুব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অফিসের মধ্যে কর্মসূচি পালনের আয়োজন করেছি। সেখানেও সরকারের লালিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালাল। আমাদের আটজন নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল।
‘এটাই হলো বর্তমান সরকারের চরিত্র। আমরা রাস্তায় অনশন কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যখন নিজেদের অফিসের ভেতরে করতে গেলাম তখন ছাত্রলীগ হামলা করল।’
তিনি জানান, ছাত্রলীগের হামলায় সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শাহিন মিয়া ওরফে ভিপি শাহিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সীমা, মহিলা দলের সদস্য কহিনুর, সালেহা বেগম, শ্রমিক দলের সদস্য বাদশা আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে জাকারিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাকি দুজনের নাম কাজী মাহবুব হোসেন জানাতে পারেননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালাননি। দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ জানায়নি।