বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে বিদেশ নিতে অনশনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:০২

রাজধানীতে অনশন হচ্ছে নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেঁষা রাস্তার লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপর লেন খোলা থাকায় সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যেখানে অনশন চলছে তার দুই পাশে এবং পাশের রাস্তার উল্টো পাশে তিন পয়েন্টে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যের অবস্থান রয়েছে। রাখা হয়েছে জল কামান, কয়েকটি প্রিজন ভ্যান।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার দাবিতে গণঅনশনে বসেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারা দেশে শনিবার সকাল ৯টা থেকে অনশন শুরু করে বিএনপি; চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রাজধানীতে অনশন হচ্ছে নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

অনশন কর্মসূচি থেকে সহিংসতা না ছড়াতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি বার বার বলছি, এটি একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, বিকেল ৪টা পর্যন্ত যে যেখানে বসে আছেন সেখানে বসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন করবেন।’

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। রয়েছেন কয়েক হাজার কর্মী।

বিএনপির অনশন কর্মসূচির কারণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেঁষা রাস্তার লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপর লেন খোলা থাকায় সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যেখানে অনশন চলছে তার দুই পাশে এবং পাশের রাস্তার উল্টো পাশে-এই তিন পয়েন্টে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যের অবস্থান রয়েছে। রাখা হয়েছে জল কামান, কয়েকটি প্রিজন ভ্যান।

১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

খালেদার অবস্থা ভালো নয় বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। মানবিক স্বার্থে হলেও দলীয় প্রধানকে বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিদেশ পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে এ বিষয়ে সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বার বার বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।

বিষয়টি জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার আবারও বলেছেন আইনমন্ত্রী। বলেছেন, ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে পুনরায় বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আইনের বইয়ে এটা নেই।

এদিন বিকেলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সেখানে শনিবার অনশনে বসার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হবে না, এটা অমানবিক। আমরা অনতিবিলম্বে তার জীবন রক্ষার জন্য, বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আগামী ২০ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে গণ-অনশন পালনে আমি সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ডাক্তারের পরামর্শে তরল খাবার দেয়া হয় খালেদা জিয়ারকে। গত রাতে আমি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে নিয়েছিলাম। আমাকে দেখে বলেন তুমি কে। আমি আমার পরিচয় দিলাম।

‘যেটা দেখলাম সেটা হচ্ছে উনার এক হাত বেঁকে গেছে, সবাইকে দেখে তিনি কথা বলতে চান। কিন্তু তার কথা পরিষ্কার শোনা যায় না। স্পষ্ট শব্দ বের হয় না। এটা বেশি বয়স ও প্রচণ্ড অসুস্থ থাকার কারণে হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর