বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:০৫

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি আপনারা সবাই থাকবেন। সবাইকে আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে শনিবার থেকে গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই গণঅনশন করবে দলটির নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি- এনপিপির একাংশ ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এক সভা আয়োজিত করে। সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণঅনশন কর্মসূচির কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি আপনারা সবাই থাকবেন। সবাইকে আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কর্মসচিতে অনেক নেতা-কর্মী থাকবে বলে জানালেও পুলিশ কর্মসূচি পালন করতে তাদের জায়গা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের মুক্তি এবং খালেদা জিয়াকে আলাদা করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে, স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেনি বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

বলেন, ‘দীর্ঘ নয় বছর দশ জনকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ, অহংকার এবং দাম্ভিকতার কারণে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে।’

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এতো বড় নেত্রী বিনা চিকিসায় মারা যাবে, তা এ দেশে হতে পারে না। তাই বিএনপির নেতৃত্বকে এক্যবদ্ধ হতে হবে।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘এদেশ যদি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে না চান, তাহলে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। প্রশাসনে তিন সংগঠনকে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। আর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর