বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ২০:১২

কিশোরীর চাচা অভিযোগ করেন, আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো তাদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি স্বাভাবিক হতে পারেনি।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলা সেই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার বাঘাপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, নির্যাতনের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

কিশোরীর বাবা গত ৮ নভেম্বর যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ক্ষেতলাল থানায় বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।

কিশোরীর পরিবার জানায়, স্থানীয় স্কুলে গত ৭ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল সে। অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫টার দিকে সে বাড়ি ফিরছিল। পথে তার সঙ্গে দেখা হয় বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের।

শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে তাকে নামিয়ে দেয়। ওই সময় বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম এসে মেয়েটিকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন।

এ ঘটনায় ১০ দিন আগে মামলা হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার পর গত ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাটের বিচারিক হাকিম আদালতে ওই কিশোরী নির্যাতনের বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছে বলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহারুল আলম জানিয়েছেন।

কিশোরীর চাচা অভিযোগ করেন, আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো তাদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি স্বাভাবিক হতে পারেনি।

কিশোরীর বাবা বলেন, ‘মেয়েটা আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। ও স্কুলে যাতায়াত করলে ভালো থাকবে, এই মনে করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করে তাকে স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু কে জানত স্কুলে ভর্তি করার কারণেই মেয়েটাকে এভাবে জীবন দিতে হবে। মামলা করলাম কিন্তু আসামিরা ধরা পড়ল না। মেয়ের এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।’

ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা হলেও তদন্তে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর