বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অমানবিক অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। বলেছেন, এই আচরণের জন্য সরকারকে দেশের মানুষ বদদোয়া ও অভিশাপ দিচ্ছে।
বুধবার টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ বদদোয়া ও অভিশাপ দিচ্ছে। এ অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য আমার মনে হয়, সরকারের ওনার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। উনাকে এভাবে টর্চার করা উচিত না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ড হওয়ার দুই বছর পর ২০২০ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হয়। এই মুক্তির সময়ই শর্ত ছিল বিএনপি নেত্রী দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
বাসায় ফেরার ১৩ মাস পর গত এপ্রিলে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরে বাসায় ফেরেন ১৯ জুন।
১২ অক্টোবর আবার হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। বাসায় ফেরেন ৭ নভেম্বর। সে সময় বিএনপি নেত্রীর বায়োপসি করা হয় বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বাসায় ফেরার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, তাদের নেত্রী ভালো আছেন।
তবে গত ১৩ নভেম্বর আবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন ভর্তি করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউয়ে।
এরপর থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে ক্রমাগত তাদের নেত্রীকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানানো হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবি নাকচ করার পর দিনই এই দাবিতে আগামী ২০ নভেম্বর অনশনের ডাক দিয়েছে দলটি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জোর গলায় দাবি করছি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তবে এখন এটা বলায় যদি বলা হয়, আপনারা আরেক দলের সঙ্গে মিশে গেছেন তাহলে আমরা বলব যে, কোনো মানুষের বিরুদ্ধে অত্যাচার হলে আমরা সেটার প্রতিবাদ করব।’
দলটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘এ সরকার একটা অমানবিক সরকার। তারা হাসপাতালে মৃত্যুপ্রায় রোগীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা জানেন। তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য। চিকিৎসা পাওয়ার তার যে অধিকার সেটা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাকে বিদেশ নিতে দিচ্ছে না।’