বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চমেক ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: ২০ দিনেও শেষ হয়নি তদন্ত 

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ২০:২৬

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা অভিযুক্ত, তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য।কিন্তু তারা কেউ সাক্ষাতকার দিতে চাইছে না। নিরপত্তার অযুহাত দেখিয়ে কেউ ক্যাম্পাসে আসছে না। শনিবার পর্যন্ত সময় আছে আমাদের হাতে। দেখা যাক কী করা যায়।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।

কমিটি প্রধানের অভিযোগ, ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের অসহযোগিতাই তদন্তে দেরি হওয়ার কারণ।

গত ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন তিনজন। এর মধ্যে মাহাদী জে আকিব নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুতর জখমের কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

সেদিন বিকেলে কলেজের একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। রাতের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

একই সভায় ঘটনার তদন্তে মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এর মধ্যে সাত দিনের বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ায় সময় বাড়ানো হয় ১০ দিন।

গত মঙ্গলবার আবার চমেক অধ্যক্ষের কাছে আরও ১০ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে তদন্ত কমিটি। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেননি চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেনা আক্তার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত সাত দিন শেষ হয়ে গেলে কমিটি ১০ দিন বাড়ানোর আবেদন করেন। তাদের ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এরপরও নতুন করে আরও ১০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তারা। কিন্তু তাদের আবেদন আর রাখা হয়নি। আগামী রোববারই প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি।’

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা অভিযুক্ত, তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। কিন্তু তারা কেউ সাক্ষাৎকার দিতে চাইছে না। নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে কেউ ক্যাম্পাসে আসছে না। শনিবার পর্যন্ত সময় আছে আমাদের হাতে। দেখা যাক কী করা যায়।’

এর আগে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে ২৯ অক্টোবর রাত ও ৩০ অক্টোবর সকালে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়।

৩০ অক্টোবর সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।

এই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় একটি ও চকবাজার থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর