লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ সাত দিনেও দেশে ফেরত আসেনি।
মরদেহ ফেরত চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের বলাইরহাট বাজারে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু, সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম মোমিনুল হক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রোকনুজ্জামান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল হক ও মাসুদ আলী।
১২ নভেম্বর ভোরে উপজেলার বুড়িরহাট-লোহাকুচি সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় সীমান্তের ৯১৭.৫ এস পিলার হয়ে ভারত থেকে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন দুই বাংলাদেশি।
তারা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার ময়নাচড়া মালগাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী ও আসাদুজ্জামান ভাসানী।
এ ঘটনার সাত দিন পার হওয়ার পরও মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
বিএসএফের দাবি
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বাধা দিলে পাচারকারীরা ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করার পরই গুলি করে বলে ঘটনার দিনই দাবি করেছে বিএসএফ।
গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের এক ভারতীয় ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
ওই ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নিউজবাংলার কলকাতা প্রতিনিধি বিএসএফের বরাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএসএফের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, এদিন ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার সাতভান্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ভারতীয়। গরুগুলোকে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জওয়ানদের নজরে এলে তারা বাধা দেন। পরে নন-লিথেল অস্ত্র দিয়ে পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
বিএসএফের অভিযোগ, বাধা পেয়ে পাচারকারীরা তাদের ওপর ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করলে বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়। গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ভারতীয়ের দেহ পড়ে ছিল কোচবিহার প্রান্তে। আর দুই বাংলাদেশির দেহ পড়ে ছিল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে।