বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বন্ধ বৈশাখীর বাস

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৩৭

বৈশাখী পরিবহনের একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, প্রতিদিন বাসের মালিকরা বেশি করে জমার টাকা নিচ্ছেন। তা কমানোর জন্য তারা দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন।

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সাভারের নবীনগর থেকে বাড্ডা রুটে চলাচলকারী বৈশাখী পরিবহনের বাস।

মহাখালী ওয়্যারলেস সড়কের পাশে বৈশাখী পরিবহনের সব গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

পরিবহনটির একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, প্রতিদিন বাসের মালিকরা বেশি করে জমার টাকা নিচ্ছেন। তা কমানোর জন্য তারা দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন।

তারা আরও বলেন, আন্দোলন চলাকালে মালিকদের একটি অংশ শ্রমিকদের জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়েছেন; পুলিশে ধরিয়েছেন। এসব কারণে তারা বৃহস্পতিবার বৈশাখী পরিবহনের কোনো বাস নিয়ে রাস্তায় নামেননি।

পরিবহন নেতারা বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা কোনো বাস নিয়ে রাস্তায় নামবেন না বলে জানিয়েছেন।

বৈশাখী পরিবহনের শ্রমিক সজিব বলেন, ‘ভাড়া বাড়ছে, মালিকও জমা বাড়াইছে। আগে বাইশ শ টাকা দিতাম। এখন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেয়া লাগছে। জমা-খরচ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনই থাকে না। আমরা জমা কমানোর জন্য আন্দোলন করছি।

‘এই আন্দোলন করায় আমাদের জামায়াত-শিবির বলছে। আমরা কি ওদের লোক না? আমরা তো মালিকের হইয়াই কাজ করি। তারা আমাদের জোর-জবরদস্তি করছে। জমা দিয়ে আমাদের তো কিছুই থাকে না।’

বৈশাখী পরিবহনের চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘যাত্রীরা নতুন তালিকা মতো ভাড়া দেয় না; ঝগড়া করা লাগে। খরচ বাড়ছে। এদিকে মালিকও জমা বাড়াইছে। আমরা চলব কীভাবে? এইভাবে চললে আমরা গাড়ি চালাব না।’

গাড়ির মালিকরা বলছেন, করোনার পর গাড়ি চলাচল শুরু হলে যে পরিমাণ জমা দিত, এখন শ্রমিকরা তার থেকে কিছুটা বেশি দিচ্ছেন। মালিকরা কোনো জবরদস্তি করছেন না, তবে সর্বনিম্ন ভাড়া আদায় করতে পারছেন না শ্রমিকরা। এতে সংকট তৈরি হয়েছে।

আর শ্রমিকদের জামায়াত-শিবির বলাকে ভুল-বোঝাবুঝি বলছেন বৈশাখীর বাস মালিকরা।

একটি বাসের মালিক আলমগীর বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। সকালে ওরা গাড়ি বন্ধ করায় আমাদের একজন মালিক বলছিল, তোমরা এভাবে গাড়ি বন্ধ রাখলে কেউ কেউ বলতে পারে, এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ।

‘এই কথাটাই ওরা ভুল বুঝছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে গাড়ি চালুর চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর