কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ডাকাতির সময় বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার ১০ বছর পর চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক হাবিবুর রহমান বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন মো. কাউসার, শাখাওয়াত হোসেন, মো. সোহাগ ও নাসির উদ্দিন। তাদের মধ্যে কাউসার ও শাখাওয়াত কারাগারে, অন্যরা পলাতক।
রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে আবদুল গফুর ও মো. আরিফ নামে দুজনকে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তানজিনা বেগম।
২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শমেষপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে ছালেহা বেগম নামে এক বৃদ্ধার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
পরদিন ছালেহার মেয়ে শিল্পী আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্তে বিভিন্ন সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে গফুর ও আরিফ জামিনে ছিলেন।
আসামি কাউসার ও শাখাওয়াত পুলিশকে জানান, ছালেহা বেগমের বাড়িতে ডাকাতি করতে যান তারা। সে সময় ছালেহা বাধা দিলে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তাদের সঙ্গে ছিলেন সোহাগ ও নাসির।
ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
আইনজীবী তানজিনা জানান, আদালত দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনা করে বুধবার রায় দেয়। এদিন আদালতে কাউসার ও শাখাওয়াতকে উপস্থিত করা হয়।
ছালেহার মেয়ে শিল্পী আক্তার বলেন, ‘আমরা আসামিদের ফাঁসি চেয়েছিলাম। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।’