বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্ত্রণালয়ে নথি গায়েব: চার কর্মচারী বরখাস্ত

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:২৬

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ১৭টি নথি হারানোর কথা জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নথি গায়েবের ঘটনা অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ আলমকে প্রধান করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের সবাইকে।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নুর। তিনি বলেন, ওই চার কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ১৭টি নথি হারানোর কথা জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বরখাস্ত হওয়া চার কর্মচারীর নাম হাতে পেয়েছে নিউজবাংলা। তারা হলেন, ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা, জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ এর (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।

সচিব আলী নুর বলেন, ‘নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন অ্যাকশন চলমান আছে। ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিং হয়েছে, এ অনুযায়ী এটার কাজ চলমান থাকবে।

‘চার জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এই চারজন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের কর্মচারী। তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এখন প্রসেডিং চলছে, এরপর যখন জাজমেন্ট হবে তখন তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চারজনই নিচের পর্যায়ের কর্মচারী।’

জিডি সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অফিস করে নথিগুলো ফাইল ক্যাবিনেটে রাখেন। পরের দিন দুপুর ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখেন ফাইলগুলো ক্যাবিনেটে নেই।

উপসচিব নাদিয়া হায়দার শাহবাগ থানায় জিডিটি করেন। জিডি হওয়ার পরই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্তত ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষে (ভবন নং-৩, কক্ষ নং-২৯) নথিগুলো ছিল। এগুলোর তত্ত্বাবধানে ছিলেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার এবং সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা।

নথি গায়েবের ঘটনা অনুসন্ধানে সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) আহসান কবীর ও উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

এ বিভাগের আরো খবর