বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতির স্বরবর্ণ-ব্যাঞ্জনবর্ণও বোঝেন না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে আয়োজিত এক আনন্দ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উইটসা অ্যাওয়ার্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় ছাত্রলীগ এই আনন্দ মিছিল করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কলাভবন, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশও হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় আজ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তবে আমরা খালেদা জিয়ার কুপুত্র অশিক্ষিত তারেক রহমানকে চিনি। তিনি হাওয়া ভবনে বসে বাংলাদেশের পার্সেন্টেজ চাইতেন। ১০ পার্সেন্ট তারেক জিয়া হিসেবে তিনি সে সময় পরিচিতি লাভ করেছিলেন।’
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর আজ বিশ্বের দরবারে এক জনপ্রিয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে এই উচ্চ আসনে বসিয়েছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে অভিনন্দন জানাই।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সঠিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু যখনই অন্য কোনো দল ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তারা পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা এখন যেভাবে প্রশ্ন তুলেছে, তাদের সময়ে কিন্তু তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।’
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাদ্দাম বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের বদনাম হয় বা কারো কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এ ধরণের পরিবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা দেখতে চাই না। যারা ছাত্রলীগের রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত করার চেষ্টা করেন তাদের ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হলে সাংগঠনিক নিয়ম মেনে চলতে হবে।’
সাদ্দাম বলেন, ‘খুব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আমাদের সাংগঠনিক কাজ শুরু হবে। কোন কর্মীর কারণে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে ছাত্রলীগের সুনামের উপরে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কমিটি এবং রাজনৈতিক কাঠামোতে তার আসার সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে যারা রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, শিক্ষার্থীদের যারা দক্ষভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তাদেরকে কেন্দ্র করেই ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
আনন্দ মিছিল এবং পরবর্তী সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ শাখা সহ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।